ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ ইউক্রেনের দনিপ্রোতে রাশিয়ার হামলায় দুইজন নিহত: গভর্নর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি সন্তুষ্ট নয়: মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ঢাকায় এসেছেন

সিরিয়া এসডিএফকে কেন্দিয় সরকারের অধীনে আনতে চুক্তিকে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে

সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র সংগঠন এসডিএফকে কেন্দিয় সরকারের অধীনে আনতে সই হওয়া চুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সম্প্রতি আসাদপন্থী বন্দুকধারীদের সঙ্গে নতুন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যে এ চুক্তি সই এবং এটিকে ওয়াশিংটনের সমর্থন বেশ গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেন, ‘সিরিয়ায় ভবিষ্যৎ সংঘাত এড়াতে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কী কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আমারা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করবো। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে সংখ্যালঘু আলাউইত সম্প্রদায়ের ওপর চালানো হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

গত সোমবার সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এবং এসডিএফের কমান্ডার মাজলুম আবদি জানান, তারা সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকা তেল-গ্যাসের খনিসহ সকল সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা সিরিয়া রাষ্ট্রের মধ্যে একীভূত করতে চুক্তি করেছে। বাশার আল-আসাদের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এখন এ চুক্তিকে গুরুত্ত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উন্নয়ন বলে মনে করা হচ্ছে।

চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, সমগ্র সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং এসডিএফের যোদ্ধারা আসাদপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেবে। এমনকি কুর্দিশ জনগোষ্ঠী সিরিয়ান হিসেবে সকল সাংবিধানিক অধিকার পাবে। এর আগে আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এসডিএফকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আইএসআইএল (আইসিস) দমনে সহায়তা করে।

২০১৯ সালে গোষ্ঠীটি অনেকটাই নির্মূল হলে এসডিএফ বাহিনী তাদের দখলে থাকা সিরিয়ার প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা নিয়ে আধা-স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা চালু করে। কিন্তু কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এসডিএফ বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রদান ন্যাটো মিত্র তুরস্ক ভালোভাবে নেয়নি। তুরস্ক সিরিয়ার এ বাহিনীকে তাদের দেশের কুর্দিস্থান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) সিরিয়ান শাখা হিসাবে বিবেচনা করে। সংগঠনটি তুরস্ক, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিরিয়া এসডিএফকে কেন্দিয় সরকারের অধীনে আনতে চুক্তিকে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

সিরিয়ায় কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র সংগঠন এসডিএফকে কেন্দিয় সরকারের অধীনে আনতে সই হওয়া চুক্তিকে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সম্প্রতি আসাদপন্থী বন্দুকধারীদের সঙ্গে নতুন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যে এ চুক্তি সই এবং এটিকে ওয়াশিংটনের সমর্থন বেশ গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে মার্কো রুবিও বলেন, ‘সিরিয়ায় ভবিষ্যৎ সংঘাত এড়াতে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কী কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আমারা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করবো। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে সংখ্যালঘু আলাউইত সম্প্রদায়ের ওপর চালানো হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

গত সোমবার সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এবং এসডিএফের কমান্ডার মাজলুম আবদি জানান, তারা সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকা তেল-গ্যাসের খনিসহ সকল সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা সিরিয়া রাষ্ট্রের মধ্যে একীভূত করতে চুক্তি করেছে। বাশার আল-আসাদের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এখন এ চুক্তিকে গুরুত্ত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উন্নয়ন বলে মনে করা হচ্ছে।

চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, সমগ্র সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং এসডিএফের যোদ্ধারা আসাদপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেবে। এমনকি কুর্দিশ জনগোষ্ঠী সিরিয়ান হিসেবে সকল সাংবিধানিক অধিকার পাবে। এর আগে আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এসডিএফকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আইএসআইএল (আইসিস) দমনে সহায়তা করে।

২০১৯ সালে গোষ্ঠীটি অনেকটাই নির্মূল হলে এসডিএফ বাহিনী তাদের দখলে থাকা সিরিয়ার প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা নিয়ে আধা-স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা চালু করে। কিন্তু কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এসডিএফ বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রদান ন্যাটো মিত্র তুরস্ক ভালোভাবে নেয়নি। তুরস্ক সিরিয়ার এ বাহিনীকে তাদের দেশের কুর্দিস্থান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) সিরিয়ান শাখা হিসাবে বিবেচনা করে। সংগঠনটি তুরস্ক, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত।