ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে: উপ-প্রেস সচিব জনগণের ক্ষতি করার জন্য আওয়ামী লীগ ওঁৎ পেতে আছে: এ্যানি বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান

১৪ দলের শরিকরা দুঃখ প্রকাশ, ফিরতে চায় রাজনীতিতে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলের দুর্নীতি-লুটপাটসহ নানা অপকর্ম এবং জুলাই-আগষ্ট গণহত্যার দায় নিতে নারাজ ১৪ দলের শরিকরা। তারা ক্ষমতাচ্যুত দলটির রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে দুই দশকের পথচলার জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরতে চায়। জোটের বেশির ভাগ শরিক দলের নেতাদের প্রত্যাশা, পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা রাজনীতির মাঠে পুরোমাত্রায় সক্রিয় হতে পারবেন।

১৪ দলের কয়েকজন নেতার ভাষ্য, কেবল জোটের শরিকানা এবং দু-একজন নেতার সরকার ও সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছাড়া গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা ছিল না। তারপরও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অতীত সম্পর্কের কারণে এখনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে তাদের।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি-নেতা গ্রেপ্তার হন। অনেকে বিদেশেও পালিয়ে যান। সারাদেশে মন্ত্রী-নেতাদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। দলটির সিংহভাগ নেতাকর্মী এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।

একই সময় থেকে ‌‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী’ আখ্যা পাওয়া ১৪ দলের শরিক দলগুলোও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। জোটের দুই শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু জুলাই-আগস্টের একাধিক হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে আছেন।

এরই মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের শরিক সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার ভেতর থেকে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এটিও জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৪ দলের শরিকরা দুঃখ প্রকাশ, ফিরতে চায় রাজনীতিতে

আপডেট সময় : ১২:০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলের দুর্নীতি-লুটপাটসহ নানা অপকর্ম এবং জুলাই-আগষ্ট গণহত্যার দায় নিতে নারাজ ১৪ দলের শরিকরা। তারা ক্ষমতাচ্যুত দলটির রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে দুই দশকের পথচলার জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরতে চায়। জোটের বেশির ভাগ শরিক দলের নেতাদের প্রত্যাশা, পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা রাজনীতির মাঠে পুরোমাত্রায় সক্রিয় হতে পারবেন।

১৪ দলের কয়েকজন নেতার ভাষ্য, কেবল জোটের শরিকানা এবং দু-একজন নেতার সরকার ও সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছাড়া গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা ছিল না। তারপরও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অতীত সম্পর্কের কারণে এখনও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে তাদের।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি-নেতা গ্রেপ্তার হন। অনেকে বিদেশেও পালিয়ে যান। সারাদেশে মন্ত্রী-নেতাদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। দলটির সিংহভাগ নেতাকর্মী এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।

একই সময় থেকে ‌‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী’ আখ্যা পাওয়া ১৪ দলের শরিক দলগুলোও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। জোটের দুই শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু জুলাই-আগস্টের একাধিক হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে আছেন।

এরই মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের শরিক সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার ভেতর থেকে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এটিও জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।