ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে

সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ এবং ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তারা গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা এবং জুলাই বিপ্লবের আলোকে ‘প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা’ করার দাবি জানান।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “পাঁচ দফা দাবি এই সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আবারও রাজপথে নামবে বলে হুমকি দেন হাসনাত।হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানের অবসান ঘটিয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনার আলোকে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এই সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার আলোকে এই সপ্তাহের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা করতে হবে এবং সমস্ত ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।’

হাসনাত বলেন, গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪-কে অবশ্যই অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। আর যারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছেন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে তারা কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং ‘মুজিবাদ’ চেতনা ধারণকারী এবং ফ্যাসিবাদের সেবাকারী সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মিডিয়াকে বাংলাদেশের মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭২ সালের বাকশালী সংবিধান বাতিল করে এ মাসের মধ্যে নতুন সংবিধান বাস্তবায়ন শুরু না হলে জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্রপতিকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।

কোনো ফ্যাসিবাদী আত্মগোপন করে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবে। আরেক সমন্বয়কারী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মূল আদর্শ হলো ‘মুজিবাদ’। আর আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ ছিল ছাত্রলীগ। গত ১৫ বছরে তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সুতরাং তাদের অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত। গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারী লুৎফর রহমান, সমন্বয়কারী আরিফ সোহেল, সমন্বয়কারী রিফাত রশিদ ও শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ১১:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ এবং ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তারা গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা এবং জুলাই বিপ্লবের আলোকে ‘প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা’ করার দাবি জানান।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “পাঁচ দফা দাবি এই সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আবারও রাজপথে নামবে বলে হুমকি দেন হাসনাত।হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানের অবসান ঘটিয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনার আলোকে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে এই সপ্তাহের মধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার আলোকে এই সপ্তাহের মধ্যে প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা করতে হবে এবং সমস্ত ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।’

হাসনাত বলেন, গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪-কে অবশ্যই অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। আর যারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছেন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে তারা কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং ‘মুজিবাদ’ চেতনা ধারণকারী এবং ফ্যাসিবাদের সেবাকারী সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মিডিয়াকে বাংলাদেশের মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত করতে হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭২ সালের বাকশালী সংবিধান বাতিল করে এ মাসের মধ্যে নতুন সংবিধান বাস্তবায়ন শুরু না হলে জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্রপতিকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।

কোনো ফ্যাসিবাদী আত্মগোপন করে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবে। আরেক সমন্বয়কারী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মূল আদর্শ হলো ‘মুজিবাদ’। আর আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ ছিল ছাত্রলীগ। গত ১৫ বছরে তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সুতরাং তাদের অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত। গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারী লুৎফর রহমান, সমন্বয়কারী আরিফ সোহেল, সমন্বয়কারী রিফাত রশিদ ও শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন প্রমুখ।