ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মতিঝিল আরামবাগে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেপ্তার সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে: পরিবেশ উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ডিপোর ‘গোপন চুক্তি’ বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ বিচার শেষ হওয়ার আগে আ. লীগের কার্যক্রম-নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে : রাশেদ খান ফলাফল ঘোষণার চব্বিশ ঘণ্টায় মোজাম্বিকে ২১ জন নিহত উত্তরবঙ্গের বৈষম্য ঘোচাতে কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার : আসিফ মাহমুদ সংস্কৃতি ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার বৈপ্লবিক উপাদান : রাহাত ফতেহ আলী খান সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় বড় দিন উদযাপিত জাহাজে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা ৭ জনকে: র‍্যাব হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা সহজীকরণে সফটওয়্যার চালু

আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশে লজিস্টিকস, বন্দর, বিমান চলাচল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ আল হামুদি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তার দেশের পক্ষ থেকে এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইউএই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইউএই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। পুরো জাতি এতে খুবই খুশি হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে ইউএই সরকার। এ জন্য তিনি দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত আল হামুদি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’ পার করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতি এবং সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইউএই বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত জানান, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং আবুধাবি পোর্টস চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক রপ্তানি প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

তিনি আরো বলেন, ইউএই’র আরেকটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান মাসদারও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিশেষত ভাসমান সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠানটি ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

বাংলাদেশ  সরকার ইতোমধ্যে ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আরো বেশি ইউএই বিনিয়োগ এবং আমিরাতের আরো বেশিসংখ্যক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে আগমনের প্রত্যাশায় রয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ১১:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশে লজিস্টিকস, বন্দর, বিমান চলাচল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ আল হামুদি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তার দেশের পক্ষ থেকে এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ইউএই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইউএই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। পুরো জাতি এতে খুবই খুশি হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে ইউএই সরকার। এ জন্য তিনি দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত আল হামুদি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়’ পার করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতি এবং সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ইউএই বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত জানান, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং আবুধাবি পোর্টস চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক রপ্তানি প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

তিনি আরো বলেন, ইউএই’র আরেকটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান মাসদারও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিশেষত ভাসমান সৌর প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠানটি ইন্দোনেশিয়ায় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

বাংলাদেশ  সরকার ইতোমধ্যে ব্যবসাবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আরো বেশি ইউএই বিনিয়োগ এবং আমিরাতের আরো বেশিসংখ্যক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে আগমনের প্রত্যাশায় রয়েছি।