স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, দেশে মশক নিধনে আগে কখনও বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়া হয়নি। তাদের সমন্বয়ে কখনও কোন কমিটিও গঠিত হয়নি। তিনি আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বংশাল নাজিরাবাজার এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদেও সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

হাসান আরিফ জানান, মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষজ্ঞজনের মতামত গ্রহণের পাশাপাশি তাদের অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ দুটি কমিটি গঠন করেছে। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম। তিনি বলেন, একটা নির্দিষ্ট স্থানে কী পরিমাণ কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিটালে মশক নিধন হবে তা বিশেষজ্ঞ ছাড়া নিরূপণ করা কঠিন। কিংবা কীটনাশক বা লার্ভিসাইড ছিটানোয় ওই স্থানে কী পরিমাণ মশক নিধন হয়েছে তার সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না।

এ সকল তথ্য নির্ভুলভাবে পেতে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিগুলো সহায়তা করবে। তিনি বলেন, সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উভয় পরিকল্পনায় বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিং করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, মশক নিধন কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক জোরদার করা হয়েছে।

মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিং শেষে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিদর্শনে যান। এছাড়াও তিনি সিটি কর্পোরেশনের অধিভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় ফগিং এবং লার্ভিসাইড ছিটানো অনলাইনে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।