ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি : জাতিসংঘ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া রাখাইন রাজ্য দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। গৃহযুদ্ধে দেশটির বাণিজ্য ও কৃষি উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত করছে। রাখাইনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেছে’ শীর্ষক জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির এক নতুন প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ কথা বলা হয়েছে।

এএফপি’র খবরে জানায়, উন্নয়ন কর্মসূচি বলছে- যদি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বর্তমান অবস্থার কোনো সমাধান বের করা না যায়, তাহলে ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দেবে। এতে বলা হয়, প্রায় ২০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।

চলমান সংঘাতের কারনে দেশটির ওই রাজ্যের সঙ্গে ইতিমধ্যে প্রধান রাজ্যগুলোর বাণিজ্যিক সড়ক বন্ধ রয়েছে, তাই ওখানে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহনের প্রবেশ পথ খুবই সীমিত। ইউএনডিপি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে- তীব্র লড়াইয়ের কারণে মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি রাখাইনের মানুষের আয়-রোজগার ও স্থানীয় কৃষিখাদ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

কৃষি অর্থনীতি সংকটে থাকায় ইউএনডিপি স্থানীয় খাদ্য উৎপাদনের পূর্বাভাসে জানিয়েছে- মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যে এর চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পুরণ করতে পারবে। বীজের সংকটে অভ্যন্তরীণ ধানের উৎপাদন হ্রাস ও বৈরী আবহাওয়া এর কারণ। সামরিক জান্তা, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন সশস্ত্র দলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। ওই দলগুলো জান্তা শাসনের বিরোধিতা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি : জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১১:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া রাখাইন রাজ্য দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। গৃহযুদ্ধে দেশটির বাণিজ্য ও কৃষি উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত করছে। রাখাইনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে গেছে’ শীর্ষক জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির এক নতুন প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ কথা বলা হয়েছে।

এএফপি’র খবরে জানায়, উন্নয়ন কর্মসূচি বলছে- যদি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বর্তমান অবস্থার কোনো সমাধান বের করা না যায়, তাহলে ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দেবে। এতে বলা হয়, প্রায় ২০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে।

চলমান সংঘাতের কারনে দেশটির ওই রাজ্যের সঙ্গে ইতিমধ্যে প্রধান রাজ্যগুলোর বাণিজ্যিক সড়ক বন্ধ রয়েছে, তাই ওখানে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহনের প্রবেশ পথ খুবই সীমিত। ইউএনডিপি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে- তীব্র লড়াইয়ের কারণে মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি রাখাইনের মানুষের আয়-রোজগার ও স্থানীয় কৃষিখাদ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

কৃষি অর্থনীতি সংকটে থাকায় ইউএনডিপি স্থানীয় খাদ্য উৎপাদনের পূর্বাভাসে জানিয়েছে- মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যে এর চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পুরণ করতে পারবে। বীজের সংকটে অভ্যন্তরীণ ধানের উৎপাদন হ্রাস ও বৈরী আবহাওয়া এর কারণ। সামরিক জান্তা, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন সশস্ত্র দলের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। ওই দলগুলো জান্তা শাসনের বিরোধিতা করছে।