নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৯:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন,‘রিনিউয়েবল এনার্জি (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সম্মেলন কক্ষে আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা, এটি আসলে বিদ্যুতের সমস্যা না। সমস্যাটা হচ্ছে জ্বালানির। আমাদের গ্যাস ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। এর ফলে আমরা প্রায় ছয়হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি’। রিনিউয়েবল এনার্জি উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন,‘সূর্যের আলো আমাদের কিনতে হয় না। কিন্তু গ্যাস-কয়লা বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে কিনতে হয়। এজন্য সৌর বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য রিনিউয়েবল এনার্জি, যদি বায়ো-বিদ্যুতের সুযোগ থাকে কিংবা যদি হাইড্রো পাওয়ারের সুযোগ থাকে- সেগুলো আমাদের জন্য সুবিধাজনক’।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য নির্ভরশীলতা কমানোর আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন,‘আপনারা মর্ডানাইজেশন প্রজেক্ট করার পাশাপাশি এ এলাকার চারটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অন্তত ৫০ করে দুইশত মেগাওয়াটের প্রকল্প স্থাপন করতে পারলে আর কারো ওপর নির্ভর করতে হবে না’। এসময় তিনি জানান, সারাদেশে রেলের জমি অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। সৈয়দপুরে রেলওয়ের বেদখল হওয়া জমিও উদ্ধার করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকাররি জমি ব্যবহারের একটি নিয়মনীতি আছে।
কেউ জোর করে ব্যবহার করবেন এটি এখন আর সম্ভব না,একসময় হয়তো জোর জবরদস্তি করে দখল করা যেতো’। এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু রায়হান, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম-সহ রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীর আরইবি ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।