ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে: উপ-প্রেস সচিব জনগণের ক্ষতি করার জন্য আওয়ামী লীগ ওঁৎ পেতে আছে: এ্যানি বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান

দু’টি প্রকল্পের জন্য ৩,১৪৭ কোটি টাকা ঋণ দিবে জাইকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প (৩) ও চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) জন্য জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) সঙ্গে দু’টি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তির অধীনে, জাইকা যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ (৩) ও চট্টগ্রাম সুয়্যারেজ সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) জন্য মোট ৩৯,৯০২ মিলিয়ন ইয়েন (৩,১৪৭ কোটি টাকার সমতুল্য) প্রদান করবে।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিও উপস্থিত ছিলেন।

যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের (৩) জন্য ৩৮,২০৬ মিলিয়ন ইয়েন এবং চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) এর জন্য ১,৬৯৬ মিলিয়ন ইয়েন ঋণ বরাদ্দ করা হয়। যমুনা রেলওয়ে সেতু’র (৩) ক্ষেত্রে ঋণ চুক্তিটি তৃতীয় ধাপের ঋণের জন্য স্বাক্ষরিত হয়। ৪.৮ কিমি রেলওয়ে সেতুটি যমুনা নদীর উপর দিয়ে বিদ্যমান যমুনা বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে নির্মিত হবে। দেশের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগকে বাড়িয়ে তুলতে ২০২৫ সালের শুরুর দিকে সেতুটির নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সুয়্যারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট মোট ছয়টি ক্যাচমেন্টের মধ্যে ক্যাচমেন্ট ২ এবং ক্যাচমেন্ট ৪ (কালুরঘাট ও পূর্ব বাকালিয়া)-কে ফোকাস করবে। এটি প্রকল্পের প্রথম ধাপ, যা সমগ্র পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিশদ নকশাকে সমর্থন করবে। এই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন চট্টগ্রামে জনস্বাস্থ্য পরিসেবার উন্নতি, পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) বেশ কয়েকটি মূল লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দু’টি প্রকল্পের জন্য ৩,১৪৭ কোটি টাকা ঋণ দিবে জাইকা

আপডেট সময় : ১১:৪০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প (৩) ও চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) জন্য জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (জাইকা) সঙ্গে দু’টি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তির অধীনে, জাইকা যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ (৩) ও চট্টগ্রাম সুয়্যারেজ সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) জন্য মোট ৩৯,৯০২ মিলিয়ন ইয়েন (৩,১৪৭ কোটি টাকার সমতুল্য) প্রদান করবে।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরিও উপস্থিত ছিলেন।

যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের (৩) জন্য ৩৮,২০৬ মিলিয়ন ইয়েন এবং চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) এর জন্য ১,৬৯৬ মিলিয়ন ইয়েন ঋণ বরাদ্দ করা হয়। যমুনা রেলওয়ে সেতু’র (৩) ক্ষেত্রে ঋণ চুক্তিটি তৃতীয় ধাপের ঋণের জন্য স্বাক্ষরিত হয়। ৪.৮ কিমি রেলওয়ে সেতুটি যমুনা নদীর উপর দিয়ে বিদ্যমান যমুনা বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে নির্মিত হবে। দেশের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে রেল যোগাযোগকে বাড়িয়ে তুলতে ২০২৫ সালের শুরুর দিকে সেতুটির নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সুয়্যারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট মোট ছয়টি ক্যাচমেন্টের মধ্যে ক্যাচমেন্ট ২ এবং ক্যাচমেন্ট ৪ (কালুরঘাট ও পূর্ব বাকালিয়া)-কে ফোকাস করবে। এটি প্রকল্পের প্রথম ধাপ, যা সমগ্র পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিশদ নকশাকে সমর্থন করবে। এই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন চট্টগ্রামে জনস্বাস্থ্য পরিসেবার উন্নতি, পরিবেশগত স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) বেশ কয়েকটি মূল লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।