বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারতই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে : গয়েশ্বর
- আপডেট সময় : ১১:১১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও ভিসা বন্ধ রাখলে অর্থনৈতিকভাবে ভারতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সাহিত্যিক সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত ‘নেতা ও কবি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে ‘বিজয়ের ৫৩ বছর: আমাদের অর্জন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং জাগ্রত বাংলাদেশ-এর সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিএনপি নেত্রী রিটা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নুর আহমেদ, শাহীন মুহাম্মদ সোলাইমান মোল্লাহ, এস.এম মিজানুর রহমান, মামুন সারওয়ার, রমিজ উদ্দিন রুমী, আসাদুজ্জামান বাবুল, আবু হায়দার মো. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৯০ শতাংশ। আমরাতো শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সব কিছুই পাঠায়।
সুতরাং ভিসা এবং এলসি এসব যদি বন্ধ থাকে তাহলে ভারতে দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব না। তিনি বলেন, ‘যত দোষ-ত্রুটি আছে সেটা কতটুকু রিফর্ম করব, তা আমাদের একান্তই নিজস্ব বিষয়। আমাদের একটা পররাষ্ট্র নীতি আছে। আমরা বলেছি, সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কিন্তু কোন প্রভুত্ব নয়। শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, পুরো বিশ্বের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি আছে। ছোট দেশ, বড় দেশ বলে কোন কথা নেই। প্রতিটা দেশই কারো না কারো উপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, আমেরিকা এত বড় একটা দেশ, তাদের অস্ত্র বানানো ছাড়া কোন কারখানা নেই। কিন্তু তাদের পোষাকের জন্য বাংলাদেশ, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়।
তারাও নির্ভরশীল কোন না কোন দেশের ওপর। সুতরাং ভারত নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে।বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝে তাহলে তাদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অবনতি হওয়াই স্বাভাবিক। আজকে তারা নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্ব হারিয়েছে, মালদ্বীপ ও ভুটানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হারিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে তাদেরকে সম্পর্কের কথা ভাবতে হবে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভিতর সবগুলো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে তারা কিভাবে চলবে।
কোন দেশই ভারতের সঙ্গে আপস করছে না। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের অর্জন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু আমি বলবো তাদের সব কথা সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি, গার্মেন্টস শিল্প এবং রেমিটেন্সের দিক দিয়ে বিশ্বে এক নম্বরে আছি, এটাও আমাদের অর্জন। ভূ-প্রাকৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ এমন একটা অবস্থানে আছে যেটা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা কোন ব্যাপারই না। প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান মো. জহিরুল ইসলাম কলিম।