ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে: উপ-প্রেস সচিব জনগণের ক্ষতি করার জন্য আওয়ামী লীগ ওঁৎ পেতে আছে: এ্যানি বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার সুদ আরেক দফা বাড়ছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার হিসেবে বিবেচিত রেপো সুদ আরেক দফা বাড়তে পারে। এই অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতিতে এ ঘোষণা থাকতে পারে। রেপো বা পুনঃক্রয় চুক্তির (ট্রেজারি বিল জমা রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার) সুদহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হতে পারে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদ আরও বেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বাড়বে।

এমন এক সময় এ আলোচনা সামনে এসেছে, যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও শতাধিক পণ্য-সেবায় ভ্যাট ও অন্য কর বাড়িয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতেও সরকারি চাকুরের ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে নীতি সুদহার বাড়লেও সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংকারদের জন্য ঋণের সুদহার ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে এখন বেসরকারি বিনিয়োগ তলানিতে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গত নভেম্বরে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমেছে। অথচ মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বেড়ে গত ডিসেম্বর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশে উঠেছে।

যদিও এই অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আড়াই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানো ও সরকারি চাকরিজীবীর মহার্ঘ ভাতার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। বিশ্বের অন্য দেশ বেশ আগেই সুদহার বাড়ালেও ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সীমা আরোপ করা হয় ৯ শতাংশ।

আবার বিশ্বের অন্য দেশ যখন সুদহার কমাতে শুরু করে, তখন বাংলাদেশে আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সুদহার নির্ধারণে প্রথমে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু হয়। পরে সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। অল্পদিনের ব্যবধানে সুদহার দ্রুত বেড়ে এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার সুদ আরেক দফা বাড়ছে

আপডেট সময় : ১১:১৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার হিসেবে বিবেচিত রেপো সুদ আরেক দফা বাড়তে পারে। এই অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের মুদ্রানীতিতে এ ঘোষণা থাকতে পারে। রেপো বা পুনঃক্রয় চুক্তির (ট্রেজারি বিল জমা রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার) সুদহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হতে পারে। এতে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদ আরও বেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ বাড়বে।

এমন এক সময় এ আলোচনা সামনে এসেছে, যখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও শতাধিক পণ্য-সেবায় ভ্যাট ও অন্য কর বাড়িয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতেও সরকারি চাকুরের ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে নীতি সুদহার বাড়লেও সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যাংকারদের জন্য ঋণের সুদহার ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে এখন বেসরকারি বিনিয়োগ তলানিতে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে গত নভেম্বরে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমেছে। অথচ মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে বেড়ে গত ডিসেম্বর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশে উঠেছে।

যদিও এই অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আড়াই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানো ও সরকারি চাকরিজীবীর মহার্ঘ ভাতার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। বিশ্বের অন্য দেশ বেশ আগেই সুদহার বাড়ালেও ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সীমা আরোপ করা হয় ৯ শতাংশ।

আবার বিশ্বের অন্য দেশ যখন সুদহার কমাতে শুরু করে, তখন বাংলাদেশে আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সুদহার নির্ধারণে প্রথমে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু হয়। পরে সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। অল্পদিনের ব্যবধানে সুদহার দ্রুত বেড়ে এখন ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে।