ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

চীনে টানা তৃতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা হ্রাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

চীন শুক্রবার জানিয়েছে যে, ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো তাদের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পর এই পতন অব্যাহত রয়েছে। দেশটি দ্রুত বয়স্ক জনগোষ্ঠী এবং ক্রমাগত নিম্ন জন্মহার নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, একসময় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন ২০২৩ সালে ভারতের পেছন পড়ে যায়। জন্মহার বাড়াতে বেইজিং ভর্তুকি এবং প্রজনন সহায়ক প্রচারণা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.৪০৮ বিলিয়নে, যা ২০২৩ সালের ১.৪১০ বিলিয়ন থেকে কম।

জনসংখ্যা হ্রাসের গতি গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। ২০২৩ সালে জনসংখ্যা হ্রাসের হার ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। চীন ১৯৮০-এর দশকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চালু করা কঠোর ‘এক সন্তান নীতি’ ২০১৬ সালে বাতিল করে এবং ২০২১ সালে দম্পতিদের তিন সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। তবে এই নীতি এখনও জনসংখ্যা হ্রাস ঠেকাতে পারেনি।

উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ জন্মহার হ্রাসের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। ‘প্রবণতা পরিবর্তন হবে না’ জনসংখ্যা হ্রাসের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তারা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা এবং নারীদের শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্যের কারণে এই প্রবণতা চলবে।

২০২৩ এবং ২০২৪ সালে বিবাহের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারির সময় সন্তানধারণ স্থগিত করা নারীদের কারণে জন্মহার সামান্য বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে, জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা অপরিবর্তিত থাকবে। সরকার সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা ধীরে ধীরে অবসর গ্রহণের বয়স বাড়াবে।

আগে এই বয়স ৬০ বছর ছিল, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। এই নতুন নিয়ম ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। দ্রুত বয়স্ক জনসংখ্যা এবং জন্মহারের সংকট চীনের অর্থনীতি, পেনশন, এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চীনে টানা তৃতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা হ্রাস

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

চীন শুক্রবার জানিয়েছে যে, ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো তাদের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পর এই পতন অব্যাহত রয়েছে। দেশটি দ্রুত বয়স্ক জনগোষ্ঠী এবং ক্রমাগত নিম্ন জন্মহার নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, একসময় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন ২০২৩ সালে ভারতের পেছন পড়ে যায়। জন্মহার বাড়াতে বেইজিং ভর্তুকি এবং প্রজনন সহায়ক প্রচারণা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.৪০৮ বিলিয়নে, যা ২০২৩ সালের ১.৪১০ বিলিয়ন থেকে কম।

জনসংখ্যা হ্রাসের গতি গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। ২০২৩ সালে জনসংখ্যা হ্রাসের হার ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। চীন ১৯৮০-এর দশকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চালু করা কঠোর ‘এক সন্তান নীতি’ ২০১৬ সালে বাতিল করে এবং ২০২১ সালে দম্পতিদের তিন সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। তবে এই নীতি এখনও জনসংখ্যা হ্রাস ঠেকাতে পারেনি।

উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ জন্মহার হ্রাসের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। ‘প্রবণতা পরিবর্তন হবে না’ জনসংখ্যা হ্রাসের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তারা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা এবং নারীদের শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্যের কারণে এই প্রবণতা চলবে।

২০২৩ এবং ২০২৪ সালে বিবাহের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারির সময় সন্তানধারণ স্থগিত করা নারীদের কারণে জন্মহার সামান্য বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে, জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা অপরিবর্তিত থাকবে। সরকার সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা ধীরে ধীরে অবসর গ্রহণের বয়স বাড়াবে।

আগে এই বয়স ৬০ বছর ছিল, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। এই নতুন নিয়ম ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। দ্রুত বয়স্ক জনসংখ্যা এবং জন্মহারের সংকট চীনের অর্থনীতি, পেনশন, এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।