ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

২০২৭ সালের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে : আদিলুর রহমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। মরক্কোর মারাকাসে ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্লোবাল মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন রোড সেফটি। শিল্প উপদেষ্টা বুধবার রাতে ৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন। রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে।

সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশে একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশলগত কর্মপরিকল্পনাও রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা। সম্মেলনে সরকার ২০৩০ সালের লক্ষ্যসমূহ বিশেষ করে ৩ দশমিক ৬ এবং ১১ দশমিক ২ অর্জনের জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩ ও ১১ অর্জনে সড়ক নিরাপত্তার ভূমিকা স্বীকার করেছে। এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছে।

বাংলাদেশ ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত ও অনুমোদন করবে, যা নিরাপদ ব্যবস্থা (সেইফ সিস্টেম এ্যাপ্রোচ) অনুসরণ করে প্রণয়ন করা হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভিত্তিক ডাটাবেইজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে একটি গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে, যা ২০২৪ সালের মোটরযান গতি সীমা নির্দেশিকার কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নির্দেশিকা তৈরি করা হবে।

সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নাজনীন হোসেন, গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ ও সিআইপিআরবি’র ড. সেলিম মাহমুদচৌধুরীসহ বাংলাদেশ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বর্তমানে দেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বা বিধি নেই। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৭ সালের মধ্যে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করবে। এছাড়াও, তৃতীয় বিশ্ব যুব সম্মেলনে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারি মারজানা মুনতাহা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর অংশগ্রহণ করে। এ সময় বাংলাদেশের নিরাপদ সড়কে তরুণদের কার্যক্রম তুলে ধরেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২০২৭ সালের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে : আদিলুর রহমান

আপডেট সময় : ১১:৫৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। মরক্কোর মারাকাসে ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্লোবাল মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন রোড সেফটি। শিল্প উপদেষ্টা বুধবার রাতে ৪র্থ বিশ্ব সড়ক নিরাপত্তা সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দেন। রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হবে।

সরকার ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশে একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশলগত কর্মপরিকল্পনাও রয়েছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা। সম্মেলনে সরকার ২০৩০ সালের লক্ষ্যসমূহ বিশেষ করে ৩ দশমিক ৬ এবং ১১ দশমিক ২ অর্জনের জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৩ ও ১১ অর্জনে সড়ক নিরাপত্তার ভূমিকা স্বীকার করেছে। এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছে।

বাংলাদেশ ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত ও অনুমোদন করবে, যা নিরাপদ ব্যবস্থা (সেইফ সিস্টেম এ্যাপ্রোচ) অনুসরণ করে প্রণয়ন করা হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভিত্তিক ডাটাবেইজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে একটি গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে, যা ২০২৪ সালের মোটরযান গতি সীমা নির্দেশিকার কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের জন্য ২০২৬ সালের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ নির্দেশিকা তৈরি করা হবে।

সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নাজনীন হোসেন, গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ ও সিআইপিআরবি’র ড. সেলিম মাহমুদচৌধুরীসহ বাংলাদেশ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

বর্তমানে দেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বা বিধি নেই। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৭ সালের মধ্যে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করবে। এছাড়াও, তৃতীয় বিশ্ব যুব সম্মেলনে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারি মারজানা মুনতাহা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর অংশগ্রহণ করে। এ সময় বাংলাদেশের নিরাপদ সড়কে তরুণদের কার্যক্রম তুলে ধরেন তারা।