নারীর প্রতি সহিংসতা কঠোর হাতে দমন করতে হবে : সালাহ উদ্দিন

- আপডেট সময় : ১১:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতি যে হারে সহিংসতা ও নিপীড়ন বাড়ছে তা উদ্বেগজনক। অন্তর্বর্তী সরকারকে এগুলো কঠোর হাতে দমন করতে হবে। আজ শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রদল আয়োজিত ‘অদম্য নারী, শক্তিতে অজেয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা নিপীড়ন যে পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। আমরা এর নিন্দা জানাই। সরকারকে এসব কিছু কঠোর হাতে দমন করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন যেভাবে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, তা আমরা রোধ করতে না পারলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ করবো, আপনারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুন। এখানে পতিত ফ্যাসিবাদীদের কোনো চক্রান্ত আছে কী না, তা বের করুন। বাংলাদেশকে কোনোভাবে অস্থিতিশীল করা যাবে না।
নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে নারীদের বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা নারীসহ সমাজের অন্যান্য অংশের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেখানে আমরা বলেছি, নারীদের ক্ষমতায়ন হবে সাংবিধানিকভাবে, সংসদীয়ভাবে এবং আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে; সমাজের সর্বক্ষেত্রে। ক্ষমতায়নের হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনে আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি, আশা করি, আমরা সংসদে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবো। আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক যেসব দিক আছে, যেসব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে। এখানে কোনো বৈষম্যের স্বীকৃতি আমরা দেবো না। নারীদের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিকে যতো বেশি আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো দেশ ও সে হিসেবে এগিয়ে যাবে।
অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান তুলে ধরে সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী ও শিশু। সেই হিসেবে তাদের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি ও মানবাধিকার শক্তি স্বীকৃতি দিয়েছে। নারীরা সবসময় আমাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে এগিয়ে ছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে নারীরা সম্মুখ সারিতে ছিলেন। আমাদের অর্জিত বিজয়ে নারীদের সিংহভাগ ছিলো বলেই আমরা মনে করি।