কার্যাদেশ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে দুদকের অভিযান

- আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে বিভিন্ন কার্যাদেশ প্রদানে অনিয়ম এবং কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত কুমিল্লা জেলা কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম প্রথমে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন টেন্ডার প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং তা পর্যালোচনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অভিযোগে উল্লিখিত এন এস গ্যালারীর স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অধীন ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ১০টি কার্যাদেশ পান যার মূল্য ৫৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং সেই একই ব্যক্তি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২১টি কার্যাদেশ পান, যার মূল্য ১৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এই টেন্ডার প্রক্রিয়া যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছে কি-না এবং কাজ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে সংগৃহীত সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় থেকে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে টিম সরেজমিন পরিদর্শন ও বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকাসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ ধরণের প্রকল্পের মধ্যে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিককরণ প্রকল্পে হারভেস্টার বিতরণ, অনাবাদি পতিত জমি ও বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্প, কৃষি উন্নয়ন এর মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের তথ্য দৈবচয়ন ভিত্তিতে ফোন কলের মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
বেশ কিছু উপকারভোগী বিল ভাউচারে দেখানো যাবতীয় সুবিধা পাননি মর্মে টিমকে জানান। সার্বিক বিবেচনায় প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযানকালে সংগৃহীত ১৭ ধরণের কার্যক্রমের সকল রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।