ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে: উপ-প্রেস সচিব জনগণের ক্ষতি করার জন্য আওয়ামী লীগ ওঁৎ পেতে আছে: এ্যানি বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান

গাজা যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সোমবার বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস ‘গুরুতর বন্দী বিনিময়ের’ বিনিময়ে সমস্ত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত এবং ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ অবসানের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। হামাস কায়রোতে মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনায় জড়িত অবরুদ্ধ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী দুটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করছে।কায়রো থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু এএফপি’কে বলেছেন, ‘গুরুতর বন্দি বিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের অবসান, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিনিময়ে আমরা সমস্ত ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’তবে, তিনি ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। নুনু বলেছেন, ‘বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যা নয়’, ‘বরং দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেছেন, ‘তাই হামাস দখলদার ইসরাইলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।’সোমবার ইসরাইলি সংবাদ ওয়েবসাইট ‘ইয়নেট’ জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চুক্তির অধীনে, ইসরাইল দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় অংশ নেবে বলে মার্কিন গ্যারান্টির বিনিময়ে দলটি ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল এবং একাধিক জিম্মি-বন্দী বিনিময় অন্তর্ভুক্ত ছিল, দুই মাস স্থায়ী হয়েছিল এবং পরে ভেঙে পড়ে।

হামাস কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মির সংখ্যা নিয়ে বিরোধের কারণে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা স্থগিত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে, নুনু বলেছেন, হামাস নিরস্ত্রীকরণ করবে না কারণ, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরাইল যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রেখেছে।নুনু বলেছেন, ‘প্রতিরোধের অস্ত্রগুলো আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরাইলি সরকারী পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি’র এক হিসাব অনুসারে, এই হামলায় ১,২১৮ জন নিহত হয়।

যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।হামাস যোদ্ধারা ২৫১ জনকে জিম্মি করে। যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দী। যার মধ্যে ৩৪ জন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১,৫৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট মৃতের সংখ্যা ৫০,৯৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজা যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস

আপডেট সময় : ১১:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সোমবার বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস ‘গুরুতর বন্দী বিনিময়ের’ বিনিময়ে সমস্ত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত এবং ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ অবসানের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। হামাস কায়রোতে মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনায় জড়িত অবরুদ্ধ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী দুটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করছে।কায়রো থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু এএফপি’কে বলেছেন, ‘গুরুতর বন্দি বিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের অবসান, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিনিময়ে আমরা সমস্ত ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’তবে, তিনি ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। নুনু বলেছেন, ‘বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যা নয়’, ‘বরং দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেছেন, ‘তাই হামাস দখলদার ইসরাইলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।’সোমবার ইসরাইলি সংবাদ ওয়েবসাইট ‘ইয়নেট’ জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চুক্তির অধীনে, ইসরাইল দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় অংশ নেবে বলে মার্কিন গ্যারান্টির বিনিময়ে দলটি ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল এবং একাধিক জিম্মি-বন্দী বিনিময় অন্তর্ভুক্ত ছিল, দুই মাস স্থায়ী হয়েছিল এবং পরে ভেঙে পড়ে।

হামাস কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মির সংখ্যা নিয়ে বিরোধের কারণে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা স্থগিত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে, নুনু বলেছেন, হামাস নিরস্ত্রীকরণ করবে না কারণ, যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরাইল যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রেখেছে।নুনু বলেছেন, ‘প্রতিরোধের অস্ত্রগুলো আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরাইলি সরকারী পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি’র এক হিসাব অনুসারে, এই হামলায় ১,২১৮ জন নিহত হয়।

যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।হামাস যোদ্ধারা ২৫১ জনকে জিম্মি করে। যাদের মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দী। যার মধ্যে ৩৪ জন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১,৫৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট মৃতের সংখ্যা ৫০,৯৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।