ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ নীতি হচ্ছে প্রো-বাংলাদেশ: প্রেস সচিব স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চেয়েছে ঢাকা সুদানের দুই বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে: ইউনিসেফ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান ত্রাণ হস্তান্তর শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছে নৌবাহিনী জাহাজ সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে সরকারকে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি, জনগণ বলেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২১ মে

ত্রাণ হস্তান্তর শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছে নৌবাহিনী জাহাজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে তৃতীয় ধাপে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা হস্তান্তর শেষে আজ মঙ্গলবার দেশে প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে পাঠানো ৫৫ সদস্যের উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল এবং বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে আটকে পড়া ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে বলে আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর শেষে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে গত ১৩ এপ্রিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর ত্যাগ করে। এর আগে মিয়ানমারে পাঠানো উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করে জাহাজে আরোহন করে। গত ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, অসামরিক চিকিৎসক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সমন্বয়ে গঠিত ৫৫ সদস্যের উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দলকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়।

তারা ধসে পড়া ভবন ক্লিয়ারিং, উদ্ধার ও জটিল অস্ত্রোপচারসহ দুর্যোগপীড়িত মানুষের সেবায় কাজ করে।বর্তমানে মিয়ানমারে ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় নৌবাহিনীর জাহাজযোগে তাদের নিরাপদে দেশে নিয়ে আসা হয়। মানবিক বিপর্যয়ে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়, সে দেশের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে আটক থাকা ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ জাহাজের মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

তারা প্রায় ২ বছর যাবৎ মানব পাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারে আটক ছিল। জানা যায়, উন্নত রাষ্ট্রে প্রেরণ ও চাকরির প্রলোভনে পাচারকারী চক্রের কবলে পড়ে তারা মিয়ানমারে যায়। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটককৃত আঠারো বছরের কম বয়সী তরুণদের কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হয়। আটক হওয়ার পর থেকেই তাদের প্রত্যাবাসনে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। এমতাবস্থায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী মিয়ানমারে পৌঁছালে আটককৃত নাগরিকদের প্রত্যাবাসন আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া মেলে।

সেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এ প্রেক্ষিতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যকার আলোচনায় দুই দেশ সমঝোতায় উপনীত হয়। ফলে দীর্ঘ দিন আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা মুক্তি পায়। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় মুক্তিপ্রাপ্ত নাগরিকদের আজ নিরাপদে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হস্তান্তর করা হবে বলে আইএসপিআর জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ত্রাণ হস্তান্তর শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছে নৌবাহিনী জাহাজ

আপডেট সময় : ১২:১৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে তৃতীয় ধাপে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা হস্তান্তর শেষে আজ মঙ্গলবার দেশে প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে পাঠানো ৫৫ সদস্যের উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল এবং বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে আটকে পড়া ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে জাহাজটি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে বলে আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর শেষে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে গত ১৩ এপ্রিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর ত্যাগ করে। এর আগে মিয়ানমারে পাঠানো উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করে জাহাজে আরোহন করে। গত ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, অসামরিক চিকিৎসক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সমন্বয়ে গঠিত ৫৫ সদস্যের উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দলকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়।

তারা ধসে পড়া ভবন ক্লিয়ারিং, উদ্ধার ও জটিল অস্ত্রোপচারসহ দুর্যোগপীড়িত মানুষের সেবায় কাজ করে।বর্তমানে মিয়ানমারে ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় নৌবাহিনীর জাহাজযোগে তাদের নিরাপদে দেশে নিয়ে আসা হয়। মানবিক বিপর্যয়ে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায়, সে দেশের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে আটক থাকা ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ জাহাজের মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

তারা প্রায় ২ বছর যাবৎ মানব পাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারে আটক ছিল। জানা যায়, উন্নত রাষ্ট্রে প্রেরণ ও চাকরির প্রলোভনে পাচারকারী চক্রের কবলে পড়ে তারা মিয়ানমারে যায়। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটককৃত আঠারো বছরের কম বয়সী তরুণদের কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হয়। আটক হওয়ার পর থেকেই তাদের প্রত্যাবাসনে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। এমতাবস্থায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী মিয়ানমারে পৌঁছালে আটককৃত নাগরিকদের প্রত্যাবাসন আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া মেলে।

সেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এ প্রেক্ষিতে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যকার আলোচনায় দুই দেশ সমঝোতায় উপনীত হয়। ফলে দীর্ঘ দিন আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা মুক্তি পায়। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় মুক্তিপ্রাপ্ত নাগরিকদের আজ নিরাপদে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হস্তান্তর করা হবে বলে আইএসপিআর জানায়।