বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতির প্রত্যেকটি সফল অর্জনে বিএনপি’র অবদান গর্ব করার মতো। গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে কখনও পিছপা হয়নি বিএনপি’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘অতীতে অনেকে স্বৈরাচারের সাথে আঁতাত করে অনেক কিছু করেছে কিন্তু বিএনপি কখনও দলীয় স্বার্থ হাসিলে কারো সঙ্গেই আঁতাত করেনি। বরং বলা যায়, জাতির প্রত্যেক অর্জনে সফল অবদান রেখেছে বলেই জনগণের কাছে গর্ব করার দল হচ্ছে বিএনপি। রিজভী আহমেদ জানান, ১৯৭১, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ১৯৯০ এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি’র ছিলো গৌরবোজ্জ্বল অবদান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কৃতকর্মের প্রতিবাদ ছিলো ৭ নভেম্বর। এরশাদকে জাতীয় বেঈমান বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এরশাদের দলে ভিড়ে পরবর্তীতে সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। তাই ’৯০ নিয়েও গর্ব করতে পারে না আওয়ামী লীগ। আর ২০২৪ এর ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান’র নির্দেশনায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শহিদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় শেষে সেখানে তাৎক্ষণিক এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে ছলচাতুরি করে কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে রোডম্যাপ দিয়েছে, তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ, জনগণ তা প্রত্যাশা করেনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে মেপে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো ভুল হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। কারণ,অর্ন্তবর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে। রিজভী বলেন,‘রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবার আছে। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল হলে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশীজনদের গণতন্ত্রের মুল্যবোধকে শ্রদ্ধা করতে হবে। স্বৈরাচারের প্রভাবে নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধি ও সব ক্রিমিনাল একত্রিত হয়ে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে, কোনো দলকে সংগঠিত করলে তা অপরাধীদের দল হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট সচেতন। তারা কিন্তু উট পাখির ন্যায় বালির নীচে মাথা গুঁজে নেই। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যে দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, সেদেশের সরকার মিডিয়াকে প্রভাবিত করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। আমরা বিএনপি পরিবার’র আহবায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন।

সদস্য নাজমুল হাসান, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি’র আহবায়ক শুকুর মাহমুদ,জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল,ছাত্রদল সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আওয়াল ও হাবিবুল বাশার, যুগ্ম-সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, আদাবর থানা যুবদল নেতা রাফি উদ্দিন ফয়সাল, সাকিবুল হোসেন, মাহফুজ, জিয়া সাইবার ফোর্সের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন, শারিফুল, মোহান, মিসবাহ, রুবেল, মাসুসসহ মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।