ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমদানি-রফতানি সহজ করতে ‘বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো’ উদ্বোধন আমরা গণতান্ত্রিক যুদ্ধে ছিলাম, সেই যুদ্ধ শেষ হয়েছে : মির্জা ফখরুল আলাপ পে’র সঙ্গে মেট্রোরেলের পেমেন্ট যুক্ত করবে বিটিসিএল ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে ঐক্য চাই : ডা. শফিকুর রহমান আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটি-হোটেলেও ছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুরু হচ্ছে কাগজমুক্ত বিচার কার্যক্রম জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি : উপদেষ্টা আদিলুর আগামী রমজান মাসে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে সকলে মিলে কাজ করেই প্লাস্টিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান, নিহত ১

আর্থিক খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : বিবি গভর্নর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আজ বলেছেন, বাংলাদেশ আর্থিক খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন,‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত অনেক এগিয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এটা বলতেই হবে যে, আমাদের এ অর্জন সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত বা পুরো আর্থিক খাত আরো কিছুটা অগ্রসর হতে পারত,সেক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,‘তবে, এ খাতের ব্যর্থতার জন্য কোনো একক গোষ্ঠী বা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। আমরা সবাই হয়তো আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভিন্নভাবে এ খাতে (আর্থিক খাত) কাজ করেছি। আমরা সবাই হয়তো সততার সাথে কাজ করেছি। কোনো বিচ্যুতি ছিল কি না, এখন আমাদের এই আত্ম-বিশ্লেষণ করতে হবে। ড. মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলো কিছু অপ্রচলিত খাত, যেমন এসএমই ও নতুন খাত, যেমন জলবায়ু অর্থায়ন ও সবুজ অর্থায়নে তেমন আগ্রহী নয়। অনেক খাতের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই টাকা হস্তান্তর করা হচ্ছে না। যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, তারা এই খাতগুলো নিয়ে খুব একটা উৎসাহী নন বা ঝুঁকি নিতে চান না।

এক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’অপ্রচলিত ও নতুন খাতে অর্থায়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মনসুর বিআইবিএমকে জলবায়ু অর্থায়ন, সবুজ অর্থায়ন,আর্থিক খাতের উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মতো ব্যাংকিং সেক্টরের নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআইবিএম এ খাতে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর্থিক খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিআইবিএমকে বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য মনোযোগ দিতে বলেছেন এবং এভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার নাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে দিতে বলেছেন। বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাশরুর আরেফিন, আয়োজক কমিটির সভাপতি ড. শাহ মো.আহসান হাবীব ও সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বিআইবিএম হল দেশের ব্যাংকিং খাতে সম্মিলিত মালিকানাধীন ব্যাংকিং ও ফিনান্স সংক্রান্ত জাতীয় প্রশিক্ষণ,গবেষণা,পরামর্শ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বছরের পর বছর ধরে,ইনস্টিটিউটটি তার ফোকাস প্রসারিত করেছে। এখন এটি ব্যাংকিং খাতে মধ্য ও সিনিয়র-স্তরের নির্বাহীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের প্রস্তাব দিচ্ছে, যা ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে নেতৃত্ব ও পরিচালনার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আর্থিক খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : বিবি গভর্নর

আপডেট সময় : ১১:২০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আজ বলেছেন, বাংলাদেশ আর্থিক খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন,‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত অনেক এগিয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এটা বলতেই হবে যে, আমাদের এ অর্জন সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত বা পুরো আর্থিক খাত আরো কিছুটা অগ্রসর হতে পারত,সেক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ কথা বলেন।

তিনি বলেন,‘তবে, এ খাতের ব্যর্থতার জন্য কোনো একক গোষ্ঠী বা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। আমরা সবাই হয়তো আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভিন্নভাবে এ খাতে (আর্থিক খাত) কাজ করেছি। আমরা সবাই হয়তো সততার সাথে কাজ করেছি। কোনো বিচ্যুতি ছিল কি না, এখন আমাদের এই আত্ম-বিশ্লেষণ করতে হবে। ড. মনসুর বলেন, ব্যাংকগুলো কিছু অপ্রচলিত খাত, যেমন এসএমই ও নতুন খাত, যেমন জলবায়ু অর্থায়ন ও সবুজ অর্থায়নে তেমন আগ্রহী নয়। অনেক খাতের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই টাকা হস্তান্তর করা হচ্ছে না। যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, তারা এই খাতগুলো নিয়ে খুব একটা উৎসাহী নন বা ঝুঁকি নিতে চান না।

এক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’অপ্রচলিত ও নতুন খাতে অর্থায়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মনসুর বিআইবিএমকে জলবায়ু অর্থায়ন, সবুজ অর্থায়ন,আর্থিক খাতের উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মতো ব্যাংকিং সেক্টরের নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিআইবিএম এ খাতে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর্থিক খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিআইবিএমকে বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য মনোযোগ দিতে বলেছেন এবং এভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার নাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে দিতে বলেছেন। বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাশরুর আরেফিন, আয়োজক কমিটির সভাপতি ড. শাহ মো.আহসান হাবীব ও সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বিআইবিএম হল দেশের ব্যাংকিং খাতে সম্মিলিত মালিকানাধীন ব্যাংকিং ও ফিনান্স সংক্রান্ত জাতীয় প্রশিক্ষণ,গবেষণা,পরামর্শ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বছরের পর বছর ধরে,ইনস্টিটিউটটি তার ফোকাস প্রসারিত করেছে। এখন এটি ব্যাংকিং খাতে মধ্য ও সিনিয়র-স্তরের নির্বাহীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের প্রস্তাব দিচ্ছে, যা ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে নেতৃত্ব ও পরিচালনার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।