ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে : উপাচার্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের ২৫ শহিদ শিক্ষার্থী পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিদ্দিক জোবায়ের, বিশেষ অতিথি হিসেবে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ।

এ অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের রক্তমাখা ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাঠ্যসূচিতে এ ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে। এ ব্যাপারে সরকারের সাথে একযোগে কাজ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শহিদ আবু সাইদ ও শহিদ মীর মুগ্ধ সহ অন্যান্য শহিদদের নামে স্মৃতি ফলক, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরী ভবন সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ড. আমানুল্লাহ বলেন, এই শহিদ স্মৃতি চিরতরে ধারণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজসমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, শিক্ষাখাতে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর পিছনের কারণ টি খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার।”বিশেষ অতিথি হিসেবে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সকল শিক্ষার্থী পরিবারের যেকোন যৌক্তিক দাবী মেটাতে আমরা পাশে আছি ও থাকব। এছাড়া সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বিশেষ অতিথি হিসেবে বলেন, তার মতো যেন কোন ভাই, বোন, মা, বাবা কে স্বজন হারা হতে না হয়। তিনি স্বজন হারানো এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সরকার ও এদেশের সকলকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।

আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজন হারানো পরিবারগুলোর আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। এ অনুষ্ঠানে অধিভুক্ত কলেজের শহিদ শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২৫টি পরিবারকে ০৩ লক্ষ টাকা চেক প্রদান করা হয়। এছাড়াও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম জাফরুল আযম, শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে : উপাচার্য

আপডেট সময় : ১১:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের ২৫ শহিদ শিক্ষার্থী পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিদ্দিক জোবায়ের, বিশেষ অতিথি হিসেবে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ।

এ অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের রক্তমাখা ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাঠ্যসূচিতে এ ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে। এ ব্যাপারে সরকারের সাথে একযোগে কাজ করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শহিদ আবু সাইদ ও শহিদ মীর মুগ্ধ সহ অন্যান্য শহিদদের নামে স্মৃতি ফলক, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরী ভবন সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ড. আমানুল্লাহ বলেন, এই শহিদ স্মৃতি চিরতরে ধারণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত কলেজসমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, শিক্ষাখাতে যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর পিছনের কারণ টি খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার।”বিশেষ অতিথি হিসেবে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সকল শিক্ষার্থী পরিবারের যেকোন যৌক্তিক দাবী মেটাতে আমরা পাশে আছি ও থাকব। এছাড়া সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বিশেষ অতিথি হিসেবে বলেন, তার মতো যেন কোন ভাই, বোন, মা, বাবা কে স্বজন হারা হতে না হয়। তিনি স্বজন হারানো এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সরকার ও এদেশের সকলকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।

আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজন হারানো পরিবারগুলোর আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। এ অনুষ্ঠানে অধিভুক্ত কলেজের শহিদ শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২৫টি পরিবারকে ০৩ লক্ষ টাকা চেক প্রদান করা হয়। এছাড়াও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ০৫ লক্ষ টাকা চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এটিএম জাফরুল আযম, শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ।