ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহত পরিবারের মূল্যায়ন জরুরি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার যেমন জরুরি, তেমনিভাবে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, এই বিপ্লব স্বল্প সময়ে বড় ধরণের পরিবর্তন এনেছে। ছাত্রদের উপর বিশ্বাস রেখে আপামর জনগণ রাস্তায় নেমে আসায় এই বিপ্লবের সফলতা দ্রুত এসেছে। আজ রোবববার বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য একথা বলেন।

তিনি দৃঢ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানে আগামী দিনে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠবে। স্মরণসভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

তিনি বলেন, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন না হওয়ায় গত ১৫ বছর সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। রংপুর বিভাগও এই বৈষম্যের শিকার। তিনি দেশকে নিয়ে চলা ষড়যন্ত্রের প্রলোভনে পা না দিতে শিক্ষার্থীদেরকে সতর্ক করেন। ড. আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন যেকোনো সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়ার আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জুলাই বিপ্লবে আহত -নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান ।

স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন আশু প্রয়োজন। তাদের কথাগুলো সরকারের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদদের আত্নত্যাগের ঘটনার উপর বেরোবিতে শহীদ স্মৃতি কর্ণার গড়ে তোলা হবে।

জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বেরোবি ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক এবং শহীদ আবু সাঈদসহ শহীদ আব্দুল্লাহ আল তাহের, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন, শহীদ মোসলেম উদ্দিন, শহীদ মেরাজুল ইসলাম, শহীদ মানিক মিয়ার স্বজনসহ বেরোবির আহত শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। স্মরণসভা শেষে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে একটি গাছের চারা রোপণ করেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান এর আগে দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। এসময় বেরোবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহত পরিবারের মূল্যায়ন জরুরি

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার যেমন জরুরি, তেমনিভাবে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, এই বিপ্লব স্বল্প সময়ে বড় ধরণের পরিবর্তন এনেছে। ছাত্রদের উপর বিশ্বাস রেখে আপামর জনগণ রাস্তায় নেমে আসায় এই বিপ্লবের সফলতা দ্রুত এসেছে। আজ রোবববার বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য একথা বলেন।

তিনি দৃঢ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানে আগামী দিনে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠবে। স্মরণসভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

তিনি বলেন, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন না হওয়ায় গত ১৫ বছর সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। রংপুর বিভাগও এই বৈষম্যের শিকার। তিনি দেশকে নিয়ে চলা ষড়যন্ত্রের প্রলোভনে পা না দিতে শিক্ষার্থীদেরকে সতর্ক করেন। ড. আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন যেকোনো সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়ার আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জুলাই বিপ্লবে আহত -নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান ।

স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন আশু প্রয়োজন। তাদের কথাগুলো সরকারের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদদের আত্নত্যাগের ঘটনার উপর বেরোবিতে শহীদ স্মৃতি কর্ণার গড়ে তোলা হবে।

জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বেরোবি ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক এবং শহীদ আবু সাঈদসহ শহীদ আব্দুল্লাহ আল তাহের, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন, শহীদ মোসলেম উদ্দিন, শহীদ মেরাজুল ইসলাম, শহীদ মানিক মিয়ার স্বজনসহ বেরোবির আহত শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। স্মরণসভা শেষে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে একটি গাছের চারা রোপণ করেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান এর আগে দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। এসময় বেরোবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।