ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিনিয়োগ সংস্থাগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বঞ্চিতের ক্ষোভ থেকে তরুণ প্রজন্ম ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়েছে : হাসনাত হোয়াইট হাউসের আয়তন কি ট্রাম্প ও মাস্ককে ধারণ করতে পারবে? স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নতুনভাবে সংবিধান প্রকাশে গুরুত্বারোপ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নই উঠে না দেশে সারের কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা করলে ডিলারশীপ বাতিল : কৃষি উপদেষ্টা কুমিল্লায় অস্ত্রসহ আটক ৩ জন মেয়াদ শেষে ডাটা-মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিলের রায় আগামীকাল জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামি সতর্কতা

ঢাকা-করাচি ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে চলতি বছরেই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে

এ বছরেই বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পাকিস্তানে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় পাকিস্তানের ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্সের (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ একরাম শেখ জানান, সমুদ্র এবং আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ না থাকায় এতদিন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাণিজ্য বাড়েনি।

গত অর্থবছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৬২৮ মিলিয়নের ডলারের পণ্য। অন্যদিকে রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬২ মিলিয়ন ডলারের। আমদানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল তুলা, কাপড়, পেঁয়াজ, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ ও রাসায়নিক। সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচি থেকে কনটেইনার বহনকারী দুটি জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

এতদিন দুদেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ না থাকা, অশুল্ক প্রতিবন্ধকতাসহ নানা জটিলতায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়েনি বলে মনে করেন বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। এফপিসিসিআই সভাপতি আতিফ একরাম শেখ বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে পাকিস্তান অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তবে এখন থেকে আমরা বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব। পর্যটনসহ জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে মূলত কাঁচা পাট, ওষুধ, চা, তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। রপ্তানি বাড়াতে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান। এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, ‘বাংলাদেশের চামড়া, টেক্সটাইল, ঔষধ, সিরামিক শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে পাকিস্তান। দুদেশের অর্থনীতির স্বার্থেই ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের নতুন নতুন সুযোগ খুঁজতে হবে।

এ সময় পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগে দু’দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চলতি বছরেই সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। এ দেশের ব্যবসায়ীরা মধ্যপ্রাচ্য, সেন্ট্রাল এশিয়ায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে পাকিস্তানকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। সভা শেষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাকা-করাচি ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে চলতি বছরেই

আপডেট সময় : ১১:২৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

এ বছরেই বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পাকিস্তানে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় পাকিস্তানের ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্সের (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ একরাম শেখ জানান, সমুদ্র এবং আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ না থাকায় এতদিন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাণিজ্য বাড়েনি।

গত অর্থবছর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৬২৮ মিলিয়নের ডলারের পণ্য। অন্যদিকে রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬২ মিলিয়ন ডলারের। আমদানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল তুলা, কাপড়, পেঁয়াজ, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ ও রাসায়নিক। সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচি থেকে কনটেইনার বহনকারী দুটি জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

এতদিন দুদেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ না থাকা, অশুল্ক প্রতিবন্ধকতাসহ নানা জটিলতায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়েনি বলে মনে করেন বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। এফপিসিসিআই সভাপতি আতিফ একরাম শেখ বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে পাকিস্তান অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তবে এখন থেকে আমরা বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব। পর্যটনসহ জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে মূলত কাঁচা পাট, ওষুধ, চা, তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। রপ্তানি বাড়াতে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান। এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, ‘বাংলাদেশের চামড়া, টেক্সটাইল, ঔষধ, সিরামিক শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারে পাকিস্তান। দুদেশের অর্থনীতির স্বার্থেই ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের নতুন নতুন সুযোগ খুঁজতে হবে।

এ সময় পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগে দু’দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চলতি বছরেই সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। এ দেশের ব্যবসায়ীরা মধ্যপ্রাচ্য, সেন্ট্রাল এশিয়ায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে পাকিস্তানকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। সভা শেষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।