তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহুক কমিটি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের জালিয়াতি-প্রতারণা

- আপডেট সময় : ১২:০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহুক কমিটি নিয়ে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শওকত আলী খান প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের স্বার্থ রক্ষায় কমিটির সভাপতির পদেবিদ্যালয়টির দাতা সদস্যদের পরিবারকে বাদ দিয়ে আওয়ামী পরিবারের সদস্যকে বসিয়েছেন তিনি-এমন অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি।
একটি নথিতে দেখা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত এডহুক কমিটির সভাপতি ও সদস্য হিসেবে যাদের নাম দেয়া হয়েছে- তারা চূড়ান্ত অনুমোদনে স্থান পাননি। অর্থাৎ গোপনে নাম পরিবর্তন করে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষা অফিসে তালিকা জমা দেয়া হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি জমা দেয়া প্রস্তাবিত তালিকায় সভাপতি পদের এক নম্বর ক্রমিকে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা রহমান, দুই নম্বরে ছিলেন মো. অধ্যাপক আব্দুল মতিন বিশ্বাস ও তিন নম্বরে ছিলেন মো. হুমায়ন কবির। কিন্তু শিক্ষা অফিসের কমিটির চূড়ান্ত তালিকায় দেখা যায় ক্রমিকের প্রথমে দেয়া হয়েছে মতিন বিশ্বাসকে। সেই অনুযায়ী গত ১৭ মার্চ মতিন বিশ্বাসকে এডহুক কমিটির সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা অফিস। এতে সাধারণ শিক্ষক সদস্য রাখা হয়েছে মুহাম্মদ লোকমান হোসেনকে ও অভিভাবক সদস্য রয়েছেন মো. জসীম উদ্দিন।
অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শওকত আলী খান শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এডহুক কমিটির প্রস্তাবিত নাম পরিবর্তন করে মতিন বিশ্বাসকে সভাপতির পদে বসানোর ব্যবস্থা করেন।
এছাড়াও এলাকায় অভিযোগ রয়েছে, মতিন বিশ্বাসের পরিবার স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। নিজের স্বার্থ উদ্ধারে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে মতিন বিশ্বাসকে ওই পদে বসিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি ড. মো. আলমগীর সিদ্দিক দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের পক্ষ থেকে কমিটিতে যোগ্য লোক বসানোর জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যকি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করেছেন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, এডহুক কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মতিন বিশ্বাসের নাম অন্তর্ভুক্তি প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও পরিচালনায় ব্যঘাত ঘটাবে। বিদ্যালয়টির সাবেক প্রধান শিক্ষক ও আব্দুল মতিন বিশ্বাসের ভাই মালেক বিশ্বাস অর্থ তসরফ করেছেন- যাতে অডিট আপত্তি রয়েছে। রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে অডিট আপত্তির প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা বারবার নোটিশ দিরেও ফেরত দেয়নি। তিনি সানজিদা রহমানকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধও করেন।