ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

থানায় কোন জিডি হলে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে : ডিএমপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

তিনি বলেন, এক ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে মামলা দায়ের করতে হবে। যেকোনো ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক  ধারণা তৈরি হবে। আজ বুধবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রায় দুই কোটি মানুষ ঢাকা শহরে বসবাস করে। যানজটসহ  নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই শহর। জুলাই-আগস্টের ভূমিকার জন্য পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এমন  অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশ  হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানুষের কাছে যাওয়া এবং তাদের কথা শোনা। একই সাথে নাগরিকদের বলা যে, আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে পুলিশবিহীন সমাজ ব্যবস্থা চিন্তা করা যায়না। আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে ডিএমপিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই এবং আমার সহকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাও উদাহরণ সৃষ্টি করুন। আপনাদের আচার-আচরণ, নৈতিকতা  ও জীবন যাপন পদ্ধতি এমন হতে হবে যেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়। আইনগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন পুলিশ অফিসার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কী ধারণা পোষণ করে সেটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা। কোন অবস্থাতেই কোন খুনের ঘটনা যেন অপমৃত্যু হিসেবে থানায় রেকর্ড না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এর জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ দায়ী হবেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর-গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষক, ছাত্র-জনতা, শ্রমিকনেতা ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হবে। সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন নভেম্বর মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।

মাসিক অপরাধ সভায় নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

থানায় কোন জিডি হলে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে : ডিএমপি

আপডেট সময় : ১১:৩০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

তিনি বলেন, এক ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে মামলা দায়ের করতে হবে। যেকোনো ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মাঝে ইতিবাচক  ধারণা তৈরি হবে। আজ বুধবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রায় দুই কোটি মানুষ ঢাকা শহরে বসবাস করে। যানজটসহ  নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই শহর। জুলাই-আগস্টের ভূমিকার জন্য পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এমন  অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশ  হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানুষের কাছে যাওয়া এবং তাদের কথা শোনা। একই সাথে নাগরিকদের বলা যে, আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে পুলিশবিহীন সমাজ ব্যবস্থা চিন্তা করা যায়না। আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে ডিএমপিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই এবং আমার সহকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাও উদাহরণ সৃষ্টি করুন। আপনাদের আচার-আচরণ, নৈতিকতা  ও জীবন যাপন পদ্ধতি এমন হতে হবে যেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়। আইনগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন পুলিশ অফিসার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কী ধারণা পোষণ করে সেটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা। কোন অবস্থাতেই কোন খুনের ঘটনা যেন অপমৃত্যু হিসেবে থানায় রেকর্ড না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এর জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ দায়ী হবেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর-গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষক, ছাত্র-জনতা, শ্রমিকনেতা ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হবে। সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন নভেম্বর মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।

মাসিক অপরাধ সভায় নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।