ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

দরিদ্রসীমার নিচের পরিবার পাবে অর্থ ও জীবিকা সহায়তা : ত্রাণ উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, দরিদ্র সীমার নিচে বাস করা প্রতি পরিবারকে নগদ অর্থ ও জীবিকা সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। তিনি জানান, খাদ্য ও জীবিকা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা প্রদান করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এই কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১ হাজার টাকা এবং জীবিকা সহায়তায় ২ হাজার টাকা প্রদান করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘বন্যা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় করনীয় বিষয়ক বহুপাক্ষিক আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ৭৫টি উপজেলায় উল্লেখিত কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং বিভিন্নভাবে অপুষ্টির শিকার। তিন বছর মেয়াদে এই কর্মসূচি ৭৫টি উপজেলার ৭৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তিন বছরে ব্যয় হবে ৮১৯ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বন্যাসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং স্বোচ্ছাসেবকসহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি বছর আগস্টের বন্যায় উপদ্রুত এলাকার মানুষের সহায়তায় তরুণ শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়। বর্তমানে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ-উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব এই জলাবদ্ধতা দূর করে সেখানে জীবন জীবিকা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে এসেছে, তার মধ্যে যোগযোগ ব্যবস্থা, কৃষি খাত, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা উল্লেখযোগ্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্। ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আহমেদ উল্লাহ এফসিএমএ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ঢাকা বিভাগ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জিকরুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এহতেশামুল রাসেল খান, ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স-এর উর্ধ্বতন পরিচালক অরিঞ্জয় ধর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দরিদ্রসীমার নিচের পরিবার পাবে অর্থ ও জীবিকা সহায়তা : ত্রাণ উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, দরিদ্র সীমার নিচে বাস করা প্রতি পরিবারকে নগদ অর্থ ও জীবিকা সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। তিনি জানান, খাদ্য ও জীবিকা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা প্রদান করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এই কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা প্রতিটি পরিবারকে মাসে ১ হাজার টাকা এবং জীবিকা সহায়তায় ২ হাজার টাকা প্রদান করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা আজ বুধবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘বন্যা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় করনীয় বিষয়ক বহুপাক্ষিক আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ৭৫টি উপজেলায় উল্লেখিত কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং বিভিন্নভাবে অপুষ্টির শিকার। তিন বছর মেয়াদে এই কর্মসূচি ৭৫টি উপজেলার ৭৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তিন বছরে ব্যয় হবে ৮১৯ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, বন্যাসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং স্বোচ্ছাসেবকসহ সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি বছর আগস্টের বন্যায় উপদ্রুত এলাকার মানুষের সহায়তায় তরুণ শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় জনসাধারণ এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা ছিল অভাবনীয়। বর্তমানে ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা দূর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ-উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব এই জলাবদ্ধতা দূর করে সেখানে জীবন জীবিকা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো সামনে এসেছে, তার মধ্যে যোগযোগ ব্যবস্থা, কৃষি খাত, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানুষের জীবন-জীবিকা উল্লেখযোগ্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্। ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আহমেদ উল্লাহ এফসিএমএ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ঢাকা বিভাগ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসেন, সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জিকরুল হাসান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এহতেশামুল রাসেল খান, ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স-এর উর্ধ্বতন পরিচালক অরিঞ্জয় ধর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।