ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে ন্যায্য মূল্যের সবজি বাজারের উদ্বোধন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় জেলায় ন্যায্য মূল্যের সবজির বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের অডিটোরিয়াম চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ন্যায্য মুল্যের বাজার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সীমা শারমিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বাজার উদ্বোধনের পর পরই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

উদ্বোধনী দিনে নায্যমূল্যের এ বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫৫, টাকা, প্রতি পিস লাউ ২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ২০, মরিচ ৬৫, বাঁধা কপি ৪০, লাল শাক ৩০, মুলা ৩৫, ডাটা ১৮, পেঁয়াজ ৮০, বেগুন ২০, পালং শাক ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।‘খেত থেকে আনা কৃষকের পণ্য, সুলভ মূল্যে জনগণের জন্য’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে ন্যায্য মুল্যের বাজার। এই বাজার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী ফোরামের সেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

তারা অধিকাংশই ছাত্র, সেচ্ছাসেবীরা চাষীদের খেত থেকে সবজি কিনে এনে বাজার মুল্য থেকে কম মুল্যে বিক্রি করছে। স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক আহসান হাবিব জানান, সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা দোকান পরিচালনা করছে। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে কমমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে, তাই এ দোকানে কাজ করছি। প্রতিদিন ভোরবেলা কৃষকের সবজি খেত থেকে আমরা সবজি কিনে এনে এখানে বিক্রি করছি।

এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা অতি মুনাফা করতে পারছে না। কৃষকও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। একই সাথে সাধারণ মানুষও কম দামে শাক সবজি কিনতে পারছে। বাজারে দরিদ্র পরিবারদের জন্য সবজি দান বাক্সও আছে। ক্রেতারা ইচ্ছে করলে দরিদ্রদের জন্য সবজি কিনে দানও করতে পারবেন। এদিকে আলুর সিন্ডিকেট ভাঙতে বিভিন্ন কোলেস্টরেল থেকে বুধবার ১৪ টন আলু কিনেছে জেলা প্রশাসন।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ওই আলু কম দামে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। জেলা প্রশাসক জানান, দ্রব্যমূল্যের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারাদিনই এই বাজার খোলা থাকবে। ক্রেতারা দিনের যেকোন সময় এ বাজার থেকে নিত্যপণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্যমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা, যৌক্তিকতা এবং উদ্যেক্তা পেলে এই বাজার আরও সম্প্রসারিত করা হবে। বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পঞ্চগড়ে ন্যায্য মূল্যের সবজি বাজারের উদ্বোধন

আপডেট সময় : ১০:০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড় জেলায় ন্যায্য মূল্যের সবজির বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের অডিটোরিয়াম চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ন্যায্য মুল্যের বাজার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সীমা শারমিন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বাজার উদ্বোধনের পর পরই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

উদ্বোধনী দিনে নায্যমূল্যের এ বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫৫, টাকা, প্রতি পিস লাউ ২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ২০, মরিচ ৬৫, বাঁধা কপি ৪০, লাল শাক ৩০, মুলা ৩৫, ডাটা ১৮, পেঁয়াজ ৮০, বেগুন ২০, পালং শাক ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।‘খেত থেকে আনা কৃষকের পণ্য, সুলভ মূল্যে জনগণের জন্য’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে ন্যায্য মুল্যের বাজার। এই বাজার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী ফোরামের সেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

তারা অধিকাংশই ছাত্র, সেচ্ছাসেবীরা চাষীদের খেত থেকে সবজি কিনে এনে বাজার মুল্য থেকে কম মুল্যে বিক্রি করছে। স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক আহসান হাবিব জানান, সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা দোকান পরিচালনা করছে। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং সাধারণ মানুষ যাতে কমমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে, তাই এ দোকানে কাজ করছি। প্রতিদিন ভোরবেলা কৃষকের সবজি খেত থেকে আমরা সবজি কিনে এনে এখানে বিক্রি করছি।

এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা অতি মুনাফা করতে পারছে না। কৃষকও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। একই সাথে সাধারণ মানুষও কম দামে শাক সবজি কিনতে পারছে। বাজারে দরিদ্র পরিবারদের জন্য সবজি দান বাক্সও আছে। ক্রেতারা ইচ্ছে করলে দরিদ্রদের জন্য সবজি কিনে দানও করতে পারবেন। এদিকে আলুর সিন্ডিকেট ভাঙতে বিভিন্ন কোলেস্টরেল থেকে বুধবার ১৪ টন আলু কিনেছে জেলা প্রশাসন।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ওই আলু কম দামে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। জেলা প্রশাসক জানান, দ্রব্যমূল্যের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারাদিনই এই বাজার খোলা থাকবে। ক্রেতারা দিনের যেকোন সময় এ বাজার থেকে নিত্যপণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্যমূল্যে শাক সবজি কিনতে পারে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা, যৌক্তিকতা এবং উদ্যেক্তা পেলে এই বাজার আরও সম্প্রসারিত করা হবে। বাসস