ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

বর্তমান সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে : নজরুল ইসলাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় আসেনি। দেশের ছাত্র-জনতা, শ্রমজীবী মানুষ, সাধারণ মানুষ ও আমরা সবাই মিলে তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব দিয়েছি। তারা জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবে। আজ সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিজয় র‌্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯ দফা নিয়ে যে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন, তাকে তা করতে দেয়া হয় নাই, তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন, নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার চেয়ে কোন অংশে তাঁর অবদান কম নয়। তাঁকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, অন্যায়ভাবে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছিল। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় শাস্তি দেয়া হয়েছিল এবং আরও অনেক মিথ্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছিল। তিনি আইনের পথে তা মোকাবেলার চেষ্টা করছেন।

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারেক রহমানের যে অবদান, তা সবাই স্বীকার করে। দিনরাত পরিশ্রম করে তিনি শুধু বিএনপিকে সংঘটিত করেন নাই, তিনি গোটা আন্দোলনকে সংঘটিত করেছেন। এ সময় যারা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন এবং অতি সম্প্রতি জুলাই ও আগষ্টের গণঅভ্যত্থাণের যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মনে কষ্ট হয়, কারণ মানুষ যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিল, সেই স্বপ্ন এখনও অর্জিত হয় নাই।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মনে রাখতে হবে আমরা এক দফার আন্দোলন শুরু করেছিলাম, বিগত জুলাই আগষ্টেও যে লড়াই হল, তা শুধু ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য না, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ফ্যসিবাদের পতন হয়েছে, এখন গনতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে মনে পড়ে তাদের কথা, যারা ১৯৭১ সালে দেশের ভিতরে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর পর স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল হারিয়ে যায়। যাদের কাছে দেশের মানুষ গনতন্ত্র আশা করেছিল, তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। সেই বাকশালের গোরস্থানের ওপর যিনি গনতন্ত্র রচনা করেছিলেন তিনি হলেন শহীদ জিয়াউর রহমান।

বিএনপি কখনো বেআইনীভাবে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে জনগণের ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ জিয়া শুধু ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন না, তিনি ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। তিনি সেই মানুষ যিনি ১৯৭১ সালে ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ বলে দেশের মানুষকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন। সেই একই মানুষ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আমি মেজর জিয়া বলছি বলে এদেশের মানুষকে আশ্বস্থ করেছিলেন। তিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করেন নাই, তাকে সিপাহী জনতা জোর করে ক্ষমতা দিয়েছে।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করে শুধু বাংলাদেশের মানুষকে গনতন্ত্র ফিরিয়ে দেননি, তিনি সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যম উন্মোক্ত করে দিয়েছিলেন। বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ কৃষি, তৈরী পোষাক শিল্প এবং বৈদেশিক কর্মস্থান শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে গড়ে উঠেছিল। ওই সময়ে তলাহীন বাংলাদেশ থেকে শহীদ জিয়ার আমলে জাপানকে পরাজিত করে জাতিসংঘের সাধারণ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। নতুন কলকারখানা স্থাপন, বন্ধ কলকারখানা চালু, সমুদ্রের মাছ শিকার, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, কুটির শিল্পের সম্প্রসারণ যাই বলেন সব কিছু হয়েছে শহীদ জিয়ার হাত ধরে।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত এই বিজয় র‌্যালীতে সংগঠনের আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহীদুল আলম খসরু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম খান রাজু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বর্তমান সরকার জনগণের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে : নজরুল ইসলাম

আপডেট সময় : ১১:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় আসেনি। দেশের ছাত্র-জনতা, শ্রমজীবী মানুষ, সাধারণ মানুষ ও আমরা সবাই মিলে তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব দিয়েছি। তারা জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবে। আজ সোমবার ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিজয় র‌্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯ দফা নিয়ে যে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন, তাকে তা করতে দেয়া হয় নাই, তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন, নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার চেয়ে কোন অংশে তাঁর অবদান কম নয়। তাঁকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, অন্যায়ভাবে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছিল। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় শাস্তি দেয়া হয়েছিল এবং আরও অনেক মিথ্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছিল। তিনি আইনের পথে তা মোকাবেলার চেষ্টা করছেন।

জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারেক রহমানের যে অবদান, তা সবাই স্বীকার করে। দিনরাত পরিশ্রম করে তিনি শুধু বিএনপিকে সংঘটিত করেন নাই, তিনি গোটা আন্দোলনকে সংঘটিত করেছেন। এ সময় যারা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন এবং অতি সম্প্রতি জুলাই ও আগষ্টের গণঅভ্যত্থাণের যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মনে কষ্ট হয়, কারণ মানুষ যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিল, সেই স্বপ্ন এখনও অর্জিত হয় নাই।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মনে রাখতে হবে আমরা এক দফার আন্দোলন শুরু করেছিলাম, বিগত জুলাই আগষ্টেও যে লড়াই হল, তা শুধু ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য না, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ফ্যসিবাদের পতন হয়েছে, এখন গনতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিনে মনে পড়ে তাদের কথা, যারা ১৯৭১ সালে দেশের ভিতরে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণে জীবন দিয়েছেন। কিন্তু মাত্র কয়েক বছর পর স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল হারিয়ে যায়। যাদের কাছে দেশের মানুষ গনতন্ত্র আশা করেছিল, তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। সেই বাকশালের গোরস্থানের ওপর যিনি গনতন্ত্র রচনা করেছিলেন তিনি হলেন শহীদ জিয়াউর রহমান।

বিএনপি কখনো বেআইনীভাবে ক্ষমতায় আসেনি উল্লেখ করে জনগণের ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ জিয়া শুধু ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন না, তিনি ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। তিনি সেই মানুষ যিনি ১৯৭১ সালে ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ বলে দেশের মানুষকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন। সেই একই মানুষ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আমি মেজর জিয়া বলছি বলে এদেশের মানুষকে আশ্বস্থ করেছিলেন। তিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করেন নাই, তাকে সিপাহী জনতা জোর করে ক্ষমতা দিয়েছে।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ করে শুধু বাংলাদেশের মানুষকে গনতন্ত্র ফিরিয়ে দেননি, তিনি সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যম উন্মোক্ত করে দিয়েছিলেন। বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ কৃষি, তৈরী পোষাক শিল্প এবং বৈদেশিক কর্মস্থান শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে গড়ে উঠেছিল। ওই সময়ে তলাহীন বাংলাদেশ থেকে শহীদ জিয়ার আমলে জাপানকে পরাজিত করে জাতিসংঘের সাধারণ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। নতুন কলকারখানা স্থাপন, বন্ধ কলকারখানা চালু, সমুদ্রের মাছ শিকার, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, কুটির শিল্পের সম্প্রসারণ যাই বলেন সব কিছু হয়েছে শহীদ জিয়ার হাত ধরে।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত এই বিজয় র‌্যালীতে সংগঠনের আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শহীদুল আলম খসরু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম খান রাজু, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন।