ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

বাংলাদেশের মানুষ সব ধর্মের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করে : আহমাদুল্লাহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অসাধারণ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিদ্যমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব ধর্মের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করে। প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় সম্প্রতি আরও উন্নত করার বিষয়ে আমাদের মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তিনি বলেছেন, একটি এমন বাংলাদেশ গড়তে চান যেখানে কোনও ভয় থাকবে না। সভায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ধর্মের নেতারা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন।

সম্প্রতি কিছু উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার পরও মুসলমানরা ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা নিরাপদে আছেন। যদি কোথাও অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা মোকাবিলায় সরকার এবং ধর্মীয় নেতারা একসঙ্গে কাজ করবে। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ- আমরা সবাই ভাই ভাই হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। শায়খ আহমাদুল্লাহ আশা প্রকাশ করেন, এই সংহতি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন,  সম্প্রীতির জন্য একসঙ্গে কাজ করার এই মনোভাব আজকের বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ জাতিতে পরিণত করবে। ধর্মীয় নেতাদের সম্মিলিত এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি বিরল উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের মানুষ সব ধর্মের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করে : আহমাদুল্লাহ

আপডেট সময় : ১১:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অসাধারণ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিদ্যমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব ধর্মের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করে। প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় সম্প্রতি আরও উন্নত করার বিষয়ে আমাদের মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তিনি বলেছেন, একটি এমন বাংলাদেশ গড়তে চান যেখানে কোনও ভয় থাকবে না। সভায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ধর্মের নেতারা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন।

সম্প্রতি কিছু উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার পরও মুসলমানরা ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা নিরাপদে আছেন। যদি কোথাও অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা মোকাবিলায় সরকার এবং ধর্মীয় নেতারা একসঙ্গে কাজ করবে। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ- আমরা সবাই ভাই ভাই হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। শায়খ আহমাদুল্লাহ আশা প্রকাশ করেন, এই সংহতি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন,  সম্প্রীতির জন্য একসঙ্গে কাজ করার এই মনোভাব আজকের বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ জাতিতে পরিণত করবে। ধর্মীয় নেতাদের সম্মিলিত এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি বিরল উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।