ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

বিমান বাহিনী পরিচালিত গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ এর প্রদর্শন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ টাঙ্গাইলস্থ, রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ (এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট) পরিচালনা করেছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে উপস্থিত থেকে মহড়ার বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

এছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সদস্যরা এ মহড়ায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ প্রদর্শনীর প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা প্রদর্শন করা এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মূলত এ মহড়ার মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী যুদ্ধ সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকসমূহ নির্ণয় করতঃ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়, যা ভবিষ্যতে আরোও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টার সমূহ অংশগ্রহণ করে। মহড়ার উল্লেখ্যযোগ্য অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর চৌকস বৈমানিকগণ আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশলসহ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, আকাশ হতে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ এবং স্পেশাল অপারেশনসহ সকল ধরনের রণকৌশল অনুশীলন করে।

প্রদর্শনীতে বিমান বাহিনীর মিগ-২৯বি/ইউবি, এফ-৭/এফটি-৭ এবং কে-৮ডব্লিউ যুদ্ধবিমানগুলো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাদের নির্ভুল আক্রমণ ক্ষমতা এবং তৎপরতা প্রদর্শন এবং শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু সমূহ নির্মূল করে। এএন-৩২ পরিবহন বিমান রশদ সরবরাহ, কার্গো ড্রপ ও এয়ারলিফ্ট অপারেশন পরিচালনা করে। এছাড়াও এমআই-১৭, এডব্লিউ-১৩৯ এবং বেল-২১২ হেলিকপ্টারগুলো আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।

এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন, যা বাংলার আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ হতে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এই মহড়ার মাধ্যমে বৈমানিক এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং যুদ্ধাস্ত্র দ্বারা নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।

যদিও বিমান বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ হতে রক্ষা,  তবে অন্যান্য বাহিনীকে ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট প্রদান করাও অপরিহার্য কাজগুলোর মধ্যে একটি। পরিশেষে এই মহড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকগণ ও সকল সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে আকাশ হতে সুনির্দিষ্ট হুমকি মোকাবেলা করার কৌশলগুলোকে পরিমার্জিত করতে সহায়তা করবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিমান বাহিনী পরিচালিত গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ এর প্রদর্শন

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ টাঙ্গাইলস্থ, রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ (এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট) পরিচালনা করেছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে উপস্থিত থেকে মহড়ার বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।

এছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সদস্যরা এ মহড়ায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ প্রদর্শনীর প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা প্রদর্শন করা এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। মূলত এ মহড়ার মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী যুদ্ধ সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকসমূহ নির্ণয় করতঃ গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়, যা ভবিষ্যতে আরোও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মহড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিদ্যমান যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টার সমূহ অংশগ্রহণ করে। মহড়ার উল্লেখ্যযোগ্য অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর চৌকস বৈমানিকগণ আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশলসহ যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, আকাশ হতে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ এবং স্পেশাল অপারেশনসহ সকল ধরনের রণকৌশল অনুশীলন করে।

প্রদর্শনীতে বিমান বাহিনীর মিগ-২৯বি/ইউবি, এফ-৭/এফটি-৭ এবং কে-৮ডব্লিউ যুদ্ধবিমানগুলো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাদের নির্ভুল আক্রমণ ক্ষমতা এবং তৎপরতা প্রদর্শন এবং শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু সমূহ নির্মূল করে। এএন-৩২ পরিবহন বিমান রশদ সরবরাহ, কার্গো ড্রপ ও এয়ারলিফ্ট অপারেশন পরিচালনা করে। এছাড়াও এমআই-১৭, এডব্লিউ-১৩৯ এবং বেল-২১২ হেলিকপ্টারগুলো আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।

এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন, যা বাংলার আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ হতে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এই মহড়ার মাধ্যমে বৈমানিক এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং যুদ্ধাস্ত্র দ্বারা নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।

যদিও বিমান বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে আকাশকে শত্রু বিমানের আক্রমণ হতে রক্ষা,  তবে অন্যান্য বাহিনীকে ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট প্রদান করাও অপরিহার্য কাজগুলোর মধ্যে একটি। পরিশেষে এই মহড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বৈমানিকগণ ও সকল সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে আকাশ হতে সুনির্দিষ্ট হুমকি মোকাবেলা করার কৌশলগুলোকে পরিমার্জিত করতে সহায়তা করবে।