ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন, ৩ দিনে প্রাথমিক রিপোর্ট বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা পুনঃতদন্ত করবে কমিশন : চেয়ারম্যান গুরুত্বপূর্ণ নথি তলবের পরই সচিবালয়ে আগুন : রিজভী দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চলছে : সারজিস আলম হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : অনুসন্ধানে দুদক বিজয় দিবস হ্যান্ডবলের ফাইনালে বিজিবি ও বাংলাদেশ আনসার জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনী সজাগ ষড়যন্ত্রে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : এলজিআরডি উপদেষ্টা সচিবালয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক আটক সমাজের বোনম্যারোতে সমস্যা, এখন দরকার নতুন ব্যবস্থা : জামায়াত আমির

মোংলা হবে বিশ্বমানের নিরাপদ ও আধুনিক সমুদ্রবন্দর: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে

মোংলা বন্দরকে  বিশ্বমানের নিরাপদ ও আধুনিক সমুদ্রবন্দরে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড  এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আজ মঙ্গলবার ( ৫ অক্টোবর) দুপুরে খুলনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে এ কথা জানান।

মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন,মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিতেও বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দুরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের  রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং এ বন্দরটিকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। মোংলা বন্দরকে আরো আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে ও কিছু প্রকল্প ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চলমান প্রকল্প গুলো যথা নিরাপদ চ্যানেল বিনির্মাণ, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং এবং দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ’, ‘মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও নিসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প, ‘আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্প, ‘পশুর চ্যানলের ইনার বারে ড্রেজিং” শীর্ষক প্রকল্প, ‘মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পসমূহ  হচ্ছে-মোংলা  বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্প,মোংলা বন্দর চ্যানেলে ৫ বছর মেয়াদি সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প, পশুর চ্যানেলে নদীশাসন এবং মোংলা বন্দরের আরো সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প।

তিনি যোগ করেন, এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে  মোংলা বন্দরের বার্ষিক সক্ষমতা বাড়বে।  চ্যানেলে ৮.৫ সিডি গভীরতা অর্জিত হবে। এতে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দরে হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। মোংলা বন্দরে বার্ষিক প্রায় ৮ লাখ টিইউজ কন্টেইনার, ৪ কোটি মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়বে।

এ সময়ে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল ও আমদানি – রফতানিকারকদের উৎসাহিত করতে রাজস্ব বিভাগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দরে স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন উপদেষ্টা। বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং এর প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের জন্য নিজস্ব ২ টি ড্রেজার ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নেপাল ও ভুটানকে মোংলা  বন্দর ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, নেপাল ও ভূটান মোংলা বন্দর ব্যবহার করলে মোংলা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আসবে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বন্দরের আরও বেশি প্রচার প্রচারণা করা দরকার। মোংলা বন্দরের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বুকলেট তৈরি করে আমাদের বিদেশী মিশন গুলোর মাধ্যমে প্রচারণা বাড়াতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পত্র দেয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা। এ সময়ে দেশের সকল নদীবন্দর,স্থল বন্দর, সমুদ্রবন্দর গুলোকে নিয়ে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরী করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মোংলা বন্দরকে ব্র্যান্ডিং করতে এবং বন্দরের কার্যক্রমকে  দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে বাংলাদেশ টেলিভিশনেন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘হানিফ সংকেত পরিচালিত
ইত্যাদি অনুষ্ঠানটি’ মোংলা বন্দরে ধারনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও মতবিনিময় সভায় জানান  নৌপরিবহন উপদেষ্টা।  সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এবং  বন্দরের  অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মোংলা হবে বিশ্বমানের নিরাপদ ও আধুনিক সমুদ্রবন্দর: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

মোংলা বন্দরকে  বিশ্বমানের নিরাপদ ও আধুনিক সমুদ্রবন্দরে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড  এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আজ মঙ্গলবার ( ৫ অক্টোবর) দুপুরে খুলনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে এ কথা জানান।

মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন,মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিতেও বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দুরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। এছাড়াও বন্দরটির সাথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের  রেল ও নৌযোগাযোগ রয়েছে। সুতরাং এ বন্দরটিকে পিছিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। মোংলা বন্দরকে আরো আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে ও কিছু প্রকল্প ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চলমান প্রকল্প গুলো যথা নিরাপদ চ্যানেল বিনির্মাণ, সমুদ্রগামী জাহাজ সুষ্ঠুভাবে হ্যান্ডলিং এবং দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ‘মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ’, ‘মোংলা বন্দরে আধুনিক বর্জ্য ও নিসৃত তেল অপসারণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্প, ‘আপগ্রেডেশন অব মোংলা পোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্প, ‘পশুর চ্যানলের ইনার বারে ড্রেজিং” শীর্ষক প্রকল্প, ‘মোংলা বন্দরের ২টি অসম্পূর্ণ জেটি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পসমূহ  হচ্ছে-মোংলা  বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ প্রকল্প,মোংলা বন্দর চ্যানেলে ৫ বছর মেয়াদি সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প, পশুর চ্যানেলে নদীশাসন এবং মোংলা বন্দরের আরো সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প।

তিনি যোগ করেন, এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে  মোংলা বন্দরের বার্ষিক সক্ষমতা বাড়বে।  চ্যানেলে ৮.৫ সিডি গভীরতা অর্জিত হবে। এতে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দরে হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। মোংলা বন্দরে বার্ষিক প্রায় ৮ লাখ টিইউজ কন্টেইনার, ৪ কোটি মেট্রিক টন কার্গো এবং ৩০ হাজার গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়বে।

এ সময়ে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল ও আমদানি – রফতানিকারকদের উৎসাহিত করতে রাজস্ব বিভাগকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দরে স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন উপদেষ্টা। বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ড্রেজিং এর প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের জন্য নিজস্ব ২ টি ড্রেজার ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নেপাল ও ভুটানকে মোংলা  বন্দর ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, নেপাল ও ভূটান মোংলা বন্দর ব্যবহার করলে মোংলা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আসবে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বন্দরের আরও বেশি প্রচার প্রচারণা করা দরকার। মোংলা বন্দরের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বুকলেট তৈরি করে আমাদের বিদেশী মিশন গুলোর মাধ্যমে প্রচারণা বাড়াতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পত্র দেয়া হবে বলে জানান উপদেষ্টা। এ সময়ে দেশের সকল নদীবন্দর,স্থল বন্দর, সমুদ্রবন্দর গুলোকে নিয়ে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরী করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মোংলা বন্দরকে ব্র্যান্ডিং করতে এবং বন্দরের কার্যক্রমকে  দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে বাংলাদেশ টেলিভিশনেন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘হানিফ সংকেত পরিচালিত
ইত্যাদি অনুষ্ঠানটি’ মোংলা বন্দরে ধারনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও মতবিনিময় সভায় জানান  নৌপরিবহন উপদেষ্টা।  সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এবং  বন্দরের  অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।