ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

রমজানে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সয়াবিন তেলসহ কয়েকটি ভোজ্যতেলে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে আমদানি পর্যায়ে করের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, সয়াবিন, পাম, সানফ্লাওয়ার এবং ক্যানোলা তেলের বিক্রয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা কার্যকর থাকবে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

এছাড়া, এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ভোজ্যতেলের ওপর কোনো শুল্ক-কর অবশিষ্ট থাকছে না।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর এবং ১৯ নভেম্বর জারি করা ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের প্রজ্ঞাপনগুলোর মেয়াদ ছিল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার নতুন প্রজ্ঞাপনের আওতায় সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাদের জন্য দাম সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, অগ্রিম কর (এটি), এবং অগ্রিম আয়কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের ফলে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটারপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আশা প্রকাশ করেছে যে, এ উদ্যোগে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে পণ্যের দাম ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় এনে গৃহীত এ পদক্ষেপ ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজারে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রমজানে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতি

আপডেট সময় : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সয়াবিন তেলসহ কয়েকটি ভোজ্যতেলে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে আমদানি পর্যায়ে করের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, সয়াবিন, পাম, সানফ্লাওয়ার এবং ক্যানোলা তেলের বিক্রয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা কার্যকর থাকবে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

এছাড়া, এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ভোজ্যতেলের ওপর কোনো শুল্ক-কর অবশিষ্ট থাকছে না।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর এবং ১৯ নভেম্বর জারি করা ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের প্রজ্ঞাপনগুলোর মেয়াদ ছিল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার নতুন প্রজ্ঞাপনের আওতায় সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাদের জন্য দাম সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, অগ্রিম কর (এটি), এবং অগ্রিম আয়কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের ফলে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটারপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আশা প্রকাশ করেছে যে, এ উদ্যোগে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে পণ্যের দাম ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় এনে গৃহীত এ পদক্ষেপ ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজারে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।